যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাফা পর্বতের নিকটবর্তী হলেন, তখন এই আয়াত পড়লেনঃ
إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَآئِرِ اللّٰهِ
নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া আল্লাহ্র নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত।
ইন্নাস্সাফা ওয়াল-মারওয়াতা মিন শা‘আ-ইরিল্লা-হ
আর বলেন,
أَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللّٰهُ بِهِ
আল্লাহ্ যেখান থেকে শুরু করেছেন আমিও সেখান থেকে শুরু করব।
অতঃপর তিনি সাফা পর্বতে আরোহণ করতে লাগলেন যতক্ষণ না কা‘বা দেখলেন, অতঃপর কিবলামুখী হলেন, তারপর আল্লাহ্র তাওহীদ (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ঘোষণা করেন এবং তাকবীর (আল্লাহু আকবার) বলেন
অতঃপর এই দো‘আ পড়েন,
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَی كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ، أَنْجَزَ وَعْدَهُ، وَنَصَرَ عَبْدَهُ، وَهَزَمَ الْأَحْزَابَ وَحْدَهُ
একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর; আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তিনি তাঁর ওয়াদা পূর্ণ করেছেন, তিনি তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন, আর তিনি সকল বিরোধী দল-গোষ্ঠীকে একাই পরাস্ত করেছেন।”
লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর। লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু, আনজাযা ওয়া‘দাহু, ওয়ানাসারা ‘আবদাহু, ওয়া হাযামাল-আহযা-বা ওয়াহদাহু
এভাবে তিনি এর মধ্যবর্তী স্থানেও দো‘আ করতে থাকেন। এই দো‘আ তিনবার পাঠ করেন। হাদীসটিতে আরও আছে, “তিনি সাফা পাহাড়ে যেমন করেছিলেন মারওয়াতেও অনুরূপ করেন।”