আল-মু‘আওয়িযাত: সূরা ইখলাস,
﷽
قُلۡ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌ ۚ﴿١﴾ اَللّٰهُ الصَّمَدُ ۚ﴿٢﴾ لَمۡ يَلِدۡ ۙوَلَمۡ يُوۡلَدۡ ۙ﴿٣﴾ وَلَمۡ يَكُنۡ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ ﴿٤﴾
বলুন, তিনি আল্লাহ্, এক-অদ্বিতীয়। আল্লাহ্ হচ্ছেন ‘সামাদ’ (তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী)। তিনি কাউকেও জন্ম দেন নি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয় নি। আর তাঁর সমতুল্য কেউই নেই।
ক্বুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। আল্লাহুস্ সামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ
ও সূরা ফালাক,
﷽
قُلۡ اَعُوۡذُ بِرَبِّ الۡفَلَقِۙ ﴿١﴾ مِنۡ شَرِّ مَا خَلَقَۙ ﴿٢﴾ وَمِنۡ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَۙ ﴿٣﴾ وَمِنۡ شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِى الۡعُقَدِۙ ﴿٤﴾ وَمِنۡ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ ﴿٥﴾
বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার রবের। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে। ‘আর অনিষ্ট হতে রাতের অন্ধকারের, যখন তা গভীর হয়। আর অনিষ্ট হতে সমস্ত নারীদের, যারা গিরায় ফুঁক দেয়। আর অনিষ্ট হতে হিংসুকের, যখন সে হিংসা করে।
ক্বুল আ‘উযু বিরব্বিল ফালাক্ব। মিন শাররি মা খালাক্ব। ওয়া মিন শাররি গা-সিক্বিন ইযা ওয়াক্বাব। ওয়া মিন শাররিন নাফফা-সা-তি ফিল ‘উক্বাদ। ওয়া মিন শাররি হা-সিদিন ইযা হাসাদ
ও সূরা নাস,
﷽
قُلۡ اَعُوۡذُ بِرَبِّ النَّاسِۙ ﴿١﴾ مَلِكِ النَّاسِۙ ﴿٢﴾ اِلٰهِ النَّاسِۙ ﴿٣﴾ مِنۡ شَرِّ الۡوَسۡوَاسِ ۙ الۡخَـنَّاسِ ۙ﴿٤﴾ الَّذِىۡ يُوَسۡوِسُ فِىۡ صُدُوۡرِ النَّاسِۙ ﴿٥﴾ مِنَ الۡجِنَّةِ وَالنَّاسِ ﴿٦﴾
বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মানুষের রবের, মানুষের অধিপতির, মানুষের ইলাহের কাছে, আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট হতে; যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জিনের মধ্য থেকে এবং মানুষের মধ্য থেকে।
ক্বুল ‘আউযু বিরাব্বিন্না-স। মালিকিন্না-সি, ইলা-হিন্নাসি, মিন শাররিল ওয়াসওয়া-সিল খান্না-স, আল্লাযি ইউওয়াসউইসু ফী সুদূরিন না-সি, মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-স।
আয়েশা (রা) বলেন:
“রাসূলুল্লাহ (স) অসুস্থ হলে তিনি মুআওয়িযাত সূরাগুলো (ইখলাস, ফালাক ও নাস) পাঠ করে নিজের দেহে ফুঁক দিতেন এবং নিজের হাত নিজ দেহে বুলাতেন। দ্বিতীয় বর্ণনায়: তাঁর পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে তিনি এ সূরাগুলো পাঠ করে তাকে ফুঁক দিতেন এবং নিজ হাত তার দেহে বুলাতেন। তিনি তাঁর ওফাতের পূর্বে যখন অসুস্থ হলেন তখন আমি নিজে সূরাগুলো পড়ে তাঁকে ফুঁক দিতাম এবং তাঁর নিজের হাত দিয়ে তাঁর দেহ ‘মাসহ’ করতাম (বুলাতাম)।”
আমরা ইতোপূর্বে রাত্রে বিছানায় শয়নের সময় নিয়মিত যিকরের মধ্যেও এভাবে সূরাগুলো পাঠ করার কথা জেনেছি।